Story

“আমি যা দেখলাম, মিস্টার বচ্চনের ডায়েট বলতে কিছুই নেই, কিছুই তো খান না বিগ বি, কেবল ফল খান, আমি দু’বার কমলালেবু খেতে দেখেছি” – ৮০ কোঠায় দাঁড়িয়ে হয়তো সবটাই শরীরের প্রয়োজনে, তবে আজ অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিনে চলুন দেখেনি আমাদের বাঙালি জনপ্রিয় অভিনেতা অম্বরিশ ঠিক কি কি বুঝলেন বিগ বি সম্পর্কে

অমিতাভ বচ্চন, বলিউডের বিগ বি বটে কিন্তু কিন্তু তিনি বাংলার জামাই। বঙ্গের মেয়ে জয়া ভাদুড়ীর স্বামী তিনি। আর সেই সূত্রেই তিনি হলেন জামাই। আজকে ১১ ই অক্টোবর জন্মদিন এই বিগ বির। ৮০ র কোঠায় পা রাখলেন বিগ বি। এই বয়সে এসে দাঁড়িয়েও একেবারে যেন ২৫ এর কোঠায় দাঁড়িয়ে অভিনেতা। তবে এখনো দাপিয়ে কাজ করে চলেছেন। বড় পর্দা থেকে ছোট পর্দা, এডভার্টাইজমেন্টেও কাজ করতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে অভিনেতাকে। এখনো তাঁর কাজ সমান মাপের জনপ্রিয়।

এই বয়সেই অভিনেতাকে খুব কাছ থেকে দেখছেন আমাদের বাংলার একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি হলেন অম্বরিশ ভট্টাচার্য। এক বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যম হাতের কাছে পেলেন এই অভিনেতাকে। এই অভিনেতার পরিচয় দিতে গেলে বলা যায় ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা, ওয়েব সিরিজ, এমনকি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনীতেও কাজ করেছেন অভিনেতা। বিজ্ঞাপনের সুযোগে এখন অম্বরিশ কাজ করছেন অমিতাভ বচ্চনের সাথেও। ২০১৮ এবং ২০২২ সালে একসাথে দুজনকে কাজ করতে দেখতে পাওয়া গেছে।

এই বয়সে বিগ বি র খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে চান এক নামই সংবাদ সংস্থা। সে বিষয়ে অভিনেতা অম্বরিশ জানান, “আমি যা দেখলাম, মিস্টার বচ্চনের ডায়েট বলতে কিছুই নেই। কিছুই তো খান না বিগ বি। কেবল ফল খান। আমি দু’বার কমলালেবু খেতে দেখেছি। প্রচুর পরিমাণে এনার্জি ড্রিঙ্ক (এনার্জি সাপ্লিমেন্ট) খান। দাঁতে কেটে কোনও খাবার খেতে দেখিনি তাঁকে। সম্প্রতি যে বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে গিয়েছিলাম, সেটার লাঞ্চ টাইমে তাঁর ভ্যানেও গিয়েছিলাম। তখনও সলিড ফুড কিছুই খেতে দেখিনি। আমার ধারণা ডাক্তারই এগুলো prescibe করেছেন তাঁকে। দেখেছি নির্দিষ্ট সময় অন্তর-অন্তর তাঁর সেক্রেটারি একটি পানীয় দেন, যেটা তিনি খান”।

এছাড়াও অভিনেতা অম্বরিশ আরও বলেন, “আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি OTT সম্পর্কে এত অবগত, আপনি তো বড় পর্দার লোক। বড় পর্দার লোকেদের তো একটা অবজ্ঞা থাকে OTT কিংবা টেলিভিশনের উপর। তিনি বলেছিলেন, ‘না, Television আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে, KBC। এবং OTT হচ্ছে ভবিষ্যৎ। আমি যদি আমার অতীত আঁকড়ে পড়ে থাকি, তা হলে মুম্বইয়ের কোনও অন্ধকার বাংলোয় বসে থাকতে হবে। আমি আর কাজ করতে পারব না। আমি প্রত্যেকদিন নিজেকে update করি এবং মনে করি বড় পর্দারও যেমন প্রয়োজন আছে, OTT-রও প্রয়োজন আছে। টেলিভিশনেরও আছে। প্রত্যেক মাধ্যমই আলাদা। প্রত্যেক মাধ্যমেরই আলাদা কাজের ধরন। প্রত্যেক মাধ্যমকেই আলাদাভাবে explore করতে চাই”।

এছাড়াও বাংলার অভিনেতা অম্বরিশ আরো বলেন, “চার নম্বর, অমিতাভ বচ্চনের স্মৃতিশক্তি অসম্ভব প্রখর। নয়তো ২০১৮ সালে আমার সঙ্গে কাজ করার চার বছর পর ২০২২ সালে আমাকে মনে রাখতেন না। তিনি একবারেই মনে রেখেছেন। এটা তো একটা বিস্ময়কর ব্যাপার, তাই না? আমি যতবার যা-যা জিজ্ঞেস করলাম, সবই ঠিক-ঠিক বললেন… পরপর। আমার ধারণা, এই মেমরিটাও তিনি প্র্যাকটিস করেন। এবং পাঁচ নম্বর, তিনি অনুসন্ধিৎসু। সব সময়ই কিছু না-কিছু খুঁজে চলেছেন। সেটাই আমার মনে হয় অমিতাভকে যুবক করে রেখেছে। মানুষের search করার ইচ্ছে হারিয়ে গেলে, তাঁর আর বেঁচে থাকার আগ্রহ থাকে না। সারাক্ষণই ছোট্ট বাচ্চার মতো কী যেন একটা খুঁজে চলেছেন তিনি। সারাক্ষণ Google করছেন, Spotify করছেন, সারাক্ষণ FB, Insta করছেন, Tweet করছেন”।

Related Articles

Back to top button