বন্ধু চোখে পেন্সিল ঢুকিয়ে করে দিয়েছিলো অন্ধ! কঠোর পরিশ্রম করে দেশের প্রথম দৃষ্টিহীন মহিলা IAS অফিসার হলেন প্রাঞ্জল

কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় শারীরিক ক্ষমতাকেও দুর করেদিতে পারে এই কথা তো সকলের জানা। বহুবার এই কথার প্রমাণও পাওয়া গেছে। আজ আবার প্রমাণ করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাঞ্জল।
নিজের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সফলতা অর্জন করেছেন তিনি শুধু তাই নয় তার মতো হাজারো মানুষকে জীবনে এগিয়ে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন সে। প্রঞ্জলের কাহিনী আর পাঁচজনের মতো নয়। অন্য পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতো তার জীবন কখনোই ছিল না।
জন্ম থেকেই প্রাঞ্জল কম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ছিল এবং একদিন সে দৃষ্ঠিশক্তি হারিয়ে ফেলে। দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলার জন্য প্রঞ্জোলের ইচ্ছাশক্তিও আসতে আসতে শেষ হতে শুরু করে।
কিন্তু প্রাঞ্জল নিজের মনকে শক্ত করে সমস্ত বাধাকে হারিয়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন তিনি। প্রথমে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে পলিটিক্যাল সাইন্সে গ্রাজুয়েশন করেন তিনি। তারপর জেএনইউ থেকে মাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
তারপর এমফিল এবং পিএইচডি করার পর ইউপিএসসি এক্সাম দিয়ে আইএএস হবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে প্রাঞ্জল। কঠোর অধ্যবসায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রাঞ্জল নিজের স্বপ্নের অনেক কাছে পৌঁছে যায়।
যেখানে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ এই পরীক্ষা দেন এবং উত্তীর্ণ হতে পারে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন সেখানে তিনি প্রথমবারেই ৭৭৩ রাঙ্ক করে সকলকে। চমকে দিয়েছিল সকলকে।
কিন্তু তার শারীরিক অক্ষমতার জন্য তাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।দৃষ্টিশক্তি না থাকার দরুন ইন্ডিয়ান রেলওয়ে বোর্ড তাকে বাতিল করে দেন।
এই ঘটনায় একটুও ভেঙে না পড়ে নিজেকে আরো ভালো একটি জায়গায় দাড় করানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাঞ্জল। যেখান থেকে কেউ কোনোদিন তাকে বাতিল করে দিতে পারবে না সেই জায়গায় পৌঁছানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করে প্রাঞ্জল।
আরো অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রম করতে শুরু করে প্রাঞ্জল। আবার তার পরিশ্রম সফল হয় ২০১৭ সালে তিনি তার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে আবারো একবার। এবং গোটা ভারতবর্ষে ১২৪ তম রাঙ্ক করে রীতিমতো চমকে দিয়েছিলেন প্রত্যেককে।
এই বার তাকে আর কেউ আটকাতে পারে না। এখন কেরালা তিরুবন্তপুরম অঞ্চলে পোষ্টিং হয়েছে তার। এই ঘটনা সকল যুবক যুবতীর কাছে অনুপ্রেরণার কারণ বা মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রাঞ্জল দেখিয়েদিয়েছে যে শারীরিক অক্ষমতা কঠোর পরিশ্রমের কাছে কিছুই নয়। তোমার মধ্যে যদি সেই জেদ থাকে তাহলেই তুমি নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে ঠিক পারবে।