হতাশার চরম পর্যায়ে গিয়ে একসময় আ;ত্ম;হ;ত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুমিত্রা মুখার্জি, কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবন কোথাও মেলেনি সুখ, ভাইরাল ভিডিও

বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের একজন জনপ্রিয় এবং ট্যালেন্টেড অভিনেত্রী ছিলেন সুমিত্রা মুখার্জি। নায়িকার চরিত্র হোক বা খলনায়িকা অথবা স্নেহময়ী মা সব চরিত্রে নিজেকে সাবলীল ভাবে দর্শকের সামনে মেলে ধরতেন অভিনেত্রী। জলকে যেমন যেই পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে তেমনি অভিনেত্রী কে যেই চরিত্র দেওয়া হতো অভিনেত্রী সেই চরিত্রে নিজেকে দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলতেন। অভিনেত্রীর অভিনয় বারবারই দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। তবে অভিনয় জীবন হোক বা ব্যক্তিগত জীবন কোথাও সুখ খুঁজে পায়নি অভিনেত্রী। শেষ বয়স খুব কষ্টে কেটেছে তার।
ছোট থেকে অভিনয়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল অভিনেত্রীর। ১৯৭২ সালে তার প্রথম বাংলা ছবি মুক্তি পায়। ছবির নাম ‘আজকের নায়ক’। এর পরেই উত্তম কুমারের সাথে মেমসাহেব ছবিতে অভিনয় করে দারুন প্রশংসা পেয়েছিলেন। তারপর থেকে অভিনেত্রীকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
একের পর এক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার মধ্যে অন্যতম হলো বসন্ত বিলাপ, দেবী চৌধুরানী, রাগ অনুরাগ, দত্তা, ওগো বন্ধু সুন্দরী, প্রফুল্ল, কলঙ্কিনী নায়িকা, অমর কণ্টক প্রভৃতি। অভিনয় জীবনে ১০০ র বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু কখনোই যোগ্য সন্মান বা পুরস্কার কিছুই পাননি। বড় পর্দা হোক বা ছোট পর্দা সব জায়গাতেই তার অভিনয় ছিল নজরকাড়া।
আবার নিজের ব্যক্তিগত জীবনেও এতোটুকু সুখী হননি তিনি। অভিনয় করতে করতেই প্রযোজক শশধর মুখার্জিকে বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে তাদের দুই সন্তানও হয়। কিন্তু নিত্যদিনের জীবনে অশান্তি ঝগড়া ঝামেলা লেগেই থাকতো। যার ফলে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর প্রযোজক রবীন্দ্রনাথ মালোহোত্রার প্রেমে পড়েন তবে তার সঙ্গে বিয়ে হয়নি। দুজনই লিভ ইন করতেন। সেখানেও সুখী হননি অভিনেত্রী।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একা হয়ে পড়ছিলেন খুব, সঙ্গে ছিল অর্থ কষ্ট। তাই শেষ সময়ে যেই চরিত্রই পেতেন সেই চরিত্রেই অভিনয় করতেন। কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে একসময় হতাশার চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হন। শেষ জীবনটা সন্তানদের সঙ্গে কাটিয়েছিলেন তিনি কিন্তু তার আগেই সমস্ত সুখ শান্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী।