বাবা পেট্রোল পাম্পে গাড়িতে তেল ভরতেন! ছেলের পড়াশোনার জন্য একমাত্র সম্বল বাড়িও বেচে ছিলেন, সেই ছেলে প্রদীপ আজ IAS অফিসার

আমরা আমাদের চারপাশে এমন অনেক ঘটনাই ঘুরতে দেখি যা রীতিমত অবাক করে তোলে আমাদের। ইচ্ছাশক্তির জোর আর পরিশ্রমই মনোভাব থাকলেই যে কোন মানুষ পৌঁছে যেতে পারে সাফল্যের চূড়ায়। প্রদীপ সিংহ তার জলজ্যান্ত উদাহরণ।
প্রদীপ তার পরিবারের সঙ্গে বিহারের গোপালগঞ্জ জেলায় বসবাস করেন। তিনি ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুব ভাল ছিলেন। পড়াশোনার জন্য তিনি খুব খাটতেন এবং তা দেখেই তার বাবা-মায়ের প্রবল আশা ছিল তার ওপর যে তাদের ছেলে বড় হয়ে কিছু না কিছু হবেই।
তবে তাদের আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভাল ছিলনা। প্রদীপের বাবা একটি পেট্রোল পাম্প এ কাজ করতেন। তিনি তার ছেলের পড়াশোনা নিয়ে খুবই সচেতন ছিলেন। তিনি কখনোই চাইতেন না তার ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাক।
স্নাতক হওয়ার পর প্রদীপের ইচ্ছে ছিল দিল্লিতে গিয়ে আইএএস কোচিং করার। কিন্তু তার পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় সে তার বাড়িতে তার ইচ্ছার কথা জানাতে পারেনি।
তবে প্রদীপের বাবা তার ইচ্ছার কথা জানতে পারা মাত্রই তার বাবা বাড়ি বিক্রি করে তাকে দিল্লিতে কোচিং এর জন্য পাঠিয়ে দেন। দিল্লিতে গিয়ে প্রদীপ বাজিরাও কোচিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
প্রথমবারের প্রচেষ্টাতেই তিনি এই পরীক্ষায় পাশ করে ভারতের মধ্যে ৯৩-তম স্থান অর্জন করেন। এর পরের বছর তিনি আবারও পরীক্ষা দেন এবং ভারতে ২৬ তম স্থান অর্জন করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইএএস হন।
তিনি তার বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করেন সারা ভারতের সামনে। ইউপিএসসি পরীক্ষা ভারতের সবথেকে প্রাচীনতম এবং কঠিন ও তম পরীক্ষা।
সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৬ তম স্থান অর্জন করা মুখের কথা নয়। প্রদীপ সিংহ আবারো সকলের সামনে প্রমাণ করে দেন যে যদি মনের স্বপ্ন থাকে আর সেটা পূরণ করার জন্য জেদ থাকে তাহলে সে সফল হবেই। তার এই সাফল্যে বহু লোককে নিজের স্বপ্নপূরণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।