Story

২০০৮ সালে অলিম্পিকে সানিয়া মির্জার জীবনে ঘটেছিল এক অস্বাভাবিক ঘটনা, সেই ঘটনার কথাই তুলে ধরলেন ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ টেনিস তারকা

প্রত্যেকের জীবনে কখনো না কখনো কোনো বাজে ঘটনা ঘটে থাকে। সেই বাজে ঘটনা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসাই এক বিরাট বোরো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। যখন সমস্ত আসার আলো কেমন এক হতাশায় পরিণত হয়ে যায়।

শুধু সাধারণ মানুষই নয় বিভিন্ন তারকাদের জীবনেও এই রকম দুর্ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। ঠিক এই র্কমী এক ঘটনার সাক্ষী বিশ্বের জনপ্ৰিয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। তার জীবনের সেই দুর্বিসহ ঘটনার কথা তুলে ধরলেন তিনি।

আজ সানিয়ার সেই দিনগুলির কথা মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকের সময় সানিয়ার কব্জিতে গুরুতর আঘাত লাগে। ডাক্তারদের পরামর্শে সানিয়া টেনিস থেকে বিরতি নিয়ে বিশ্রাম করতে শুরু করেন।

কিন্তু টেনিস পাগল সানিয়ার জন্য বাড়ি বসে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ঠিক সেই সময় জানা যায় সানিয়ার কব্জিতে চোট বেশ গুরুতর তিনি আবার কবে টেনিস খেলতে পারবেন তা নিয়ে ডাক্তাররা কোনো জবাব দিতে পারছিলেন না।

২০ বছর বয়েসী সানিয়া ধীরে ধীরে হতাশায় ডুবে যাচিছিলেন। তিনি মনে করতে শুরু করেন তিনি আর হয়তো কোনোদিন টেনিস খেলতে পারবেন না। সারাদিন নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্ধ করে রাখতেন সানিয়া এবং সারাদিন চোখের জল ফেলতেন।

সানিয়ার মতো একজন প্লেয়ারের পক্ষে কোনো জাতীয় টুর্নামেন্ট খেলতে না পারার কষ্ট শুধুমাত্র এক সত্যিকারের প্লেয়ারই বুঝতে পারবেন। কব্জির চোটের কারণে পর পর বহু খেলা থেকে বব্যাড পরতে থাকেন সানিয়া।

এরপর যখন তার কব্জির অপারেশন হল তখন তিনি মনে করলেন তিনি অলিম্পিক গেম্স্ থেকেও বাদ পড়েছেন। গভীর হতাশায় ডুবে থাকা সানিয়াকে সর্বদা উৎসাহ দিয়েছে তার পরিবারের লোকজন।

এই ঘটনায় তিনি প্রায় একবছরের কাছাকাছি টেনিস খেলতে পারেননি। অপারেশনের পর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আবার কোর্টে ফেরেন সানিয়া। সে বছর ভারতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে দুটি পদক জেনেট তিনি এছাড়াও এশিয়ান কমনওয়েলথ গেমসে এবং আফ্রো এশিয়ান গেমসে মোট ১৪টি পদক যেতেন তিনি। সাথে সাথেই গ্রান্ড স্ল্যামও অর্জন করেন তিনি।

এই ঘটনার প্রায় ১১ বছর পর নিজের যোবনের সবথেকে কঠিন সময়কে তুলে ধরেন তিনি। আপনাদের জানিয়ে রাখি সানিয়া মির্জা ২০১২ সালের ১২ই এপ্রিল পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটর সোয়েব মালিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হায়দ্রাবাদের তাজ কৃষ্ণ হোটেলে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। ২০৪৮এর শেষের দিকে সানিয়া ও সোয়েব এক সন্তানের পিত মাতা হন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button