রেলের চাকরি গেলো, ‘পদ্মশ্রী’ ও হারালেন! খাওদাওয়া করেননি, লকআপে সারা রাত ধরেই কেঁদে ভাসিয়েছেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী সুশীল কুমার

সুশীল কুমার হলেন ভারতীয় কুস্তিগীর। সম্প্রতি খুনের মামলায় জড়িয়েছেন এই ক্রীড়াবিদ। সুশীল কুমার এর দাবি তিনি কিছু করেননি এবং তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে কথায় আছে “যা রটে তার কিছুটা তো বটে”।
২৩ বছরের সাগর ধনখড়ের খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সুশীল কুমারকে। গ্রেফতার করার পরই সুশীল কুমারকে ছয়দিনের পুলিশি হেফাজত দেওয়া হয়েছে। সাগর ধনখড় তার তিন বন্ধুকে নিয়ে সুশীল কুমারের স্ত্রীর নামে কেনা একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। দিল্লীর ছত্রশাল স্টেডিয়ামে সুশীল কুমার ও তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ঝামেলা হয় সাগরের। এরপর তাদের মধ্যে মারপিট হয় জোর। এই মারপিটের জেরেই মৃত্যু হয় তেইশ বছরের তরুণ কুস্তিগির সাগর ধনখড়ের।
দিল্লী পুলিশ সুশীল কুমার কে খুনের দিন কি কি হয়েছিল, এই ঘটনা কিভাবে ঘটেছিল, এ ঘটনা ঘটার পর তিনি কোথায় লুকিয়ে ছিলেন এবং তাকে লুকিয়ে থাকতে কারা কারা সাহায্য করেছিল, এ বিষয়গুলি নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
দিল্লী পুলিশ আগেই বলেছেন মডেল টাউন এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। তরুণ কুস্তিগির সাগর ধনখড়ের মৃত্যু মামলায় জড়িত সুশীল কুমারের সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগাযোগের কথা ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে।
এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই সুশীল কুমার তার ভক্তদের কাছে খলনায়ক হয়ে উঠেছেন। তারা রীতিমত অবাক এবং বীতশ্রদ্ধ হয়েছেন এ ঘটনায়। পরপর দুটি অলিম্পিকে জোড়া পদকজয়ী সুশীল কুমার এর হাতে হাতকড়া দেখে হতাশ হয়েছেন তাঁর ভক্তরা।
জাতীয় কুস্তি সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে আদালত যতক্ষণ না বলবে সুশীলকুমার নির্দোষ ততক্ষণ পর্যন্ত কোন রকম সিদ্ধান্ত তারা নেবেন না। এই মুহূর্তে ভারতীয় রেলওয়ে থেকে অর্থাৎ তার কর্মস্থল থেকে তাকে বরখাস্ত করার কথা চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
সাগর ধনখড়ের বাবা-মা সুশীল কুমার এর পাশে চেয়েছেন। সাগরের মা একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে সাগরকে যে খুন করেছে তার জেতা পদগুলি কেড়ে নেওয়া উচিত। সাগরের বাবা-মা আদালতে ন্যায় বিচারের উপর ভরসা রেখেছেন।