
বর্তমানে টলিপাড়ায় মেগা সিরিয়ালের সংখ্যা খুব একটা কম না। আর এই সব মেগা সিরিয়াল দেখার দর্শকের সংখ্যাও অনেক। জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল হল ‘কৃষ্ণকলি’। যেসব দর্শক সিরিয়ালের পোকা তারা ‘কৃষ্ণকলি’ দেখেন। এই ধারাবাহিকে নীল- তিয়াশার পাশাপাশি রিমঝিম-ভিভানের জুটিও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে খলনায়ক-খলনায়িকা হিসেবে। এই ধারাবাহিকে রিমঝিমের চরিত্রের নাম দিশা। এই দিশা নামটি আগেও জড়িত ছিল ভিভানের জীবনের সাথে।
২০১৫ সালে দিশা গাঙ্গুলী নামে এক অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেন। অভিনেত্রী দিশা গাঙ্গুলির সঙ্গে তখন ভিভান ঘোষের একটা প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যেদিন দিশা গাঙ্গুলীর নিথর দেহ পাওয়া যায় তার আগের দিন ভিভানের সাথে আইপিএল দেখে এবং ডিনার করে অনেক রাতে বাড়ি ফিরেছিলেন অভিনেত্রী।
পরদিন সকালে অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকেই তাঁর দেহ পাওয়া যায়। সকালে অভিনেতা ভিভান দিশা কে অনেকবার ফোন করেছিল কিন্তু দিশা সেই ফোন কলের কোন উত্তর না দেওয়ায় সে তার সঙ্গে দেখা করতে চলে গিয়েছিল তার ফ্ল্যাটে।
সেখানে গিয়ে সে অভিনেত্রীর দেহ দেখেছিলেন। দরজা ভেঙে অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে তিনিই প্রথম ঢুকেছিলেন। এরপরে তার মৃত্যুর জন্য পুলিশ ভিভানকে বিভিন্নভাবে জেরা করেছিল।
অভিনেত্রীর ঘর থেকে কোনোরকম সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় রাতে ফিরে আসার পরই দিশা আত্মহত্যাই করেন।
দিশার সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে সুচন্দ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ও থাকতেন। দিশার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেই হাওড়া স্টেশনের রেল লাইনের পাশ থেকে আরও এক তরুণীকে উদ্ধার করে তার বাবা-মার কাছে পৌঁছে যাওয়া হয়।
পরে জানা যায় সেই তরুণীই হল সুচন্দ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি ধারাবাহিকের সেটে সুচান্দ্র ও দিশার আলাপ হয় এবং তারপর থেকেই তাদের বন্ধুত্ব শুরু হয়। তারা ভীষণ ভালো বন্ধু ছিলেন বলে জানা গেছে। দিশার মৃত্যুসংবাদ সহ্য করতে না পেরে ঐ দিন ওমন ঘটনা ঘটিয়েছিলেন সুচন্দ্রা।
অভিনেত্রী দিশা ঠিক কি কারণে আত্মহত্যা করেছিলেন তা আজও অজানা। তার মৃত্যু রহস্য আজও উদঘাটন করা যায়নি।